আগস্ট ১, ২০২০
করোনা ও দুর্যোগ থেকে মুক্তির প্রার্থনা ঈদের জামাতে
ন্যাশনাল ডেস্ক: আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে সারাদেশে ঈদুল আজহা পালিত হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে কোথাও ঈদগাহে জামাত হয়নি। মসজিদের যথাযথ নির্দেশনা মেনে সকালে ঈদের জামাত হয়েছে। এরপর শুরু হয় পশু কোরবানি। ঈদের নামাজ আদায় শেষে দেশ, জাতি মুসলিম উম্মার শান্তি এবং করোনা ও বন্যা থেকে মুক্তির প্রার্থনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদ জামাতের তথ্য: গোপালগঞ্জ ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা আর আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হচ্ছে। করোনার কারণে স্বাস্থ্য বিধিমেনে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে সকাল ৭টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে জেলা কোন্দ্রীয় জামে মসজিদে। সেখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ্-দৌলা খানসহ, সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক নেতারা নামাজ আদায় করেন। এছাড়া সকাল ৭-৮টার মধ্যে, টেংকেরপাড় জামে মসজিদ, জেলা জামিয়া ইউনুছিয়া ইসলামীয়া মাদ্রাসা মসজিদ, পীরবাড়ী দারুল ওলুম ইসলামীয়া মাদ্রাসা মসজিদ, মেড্ডা বাসষ্ট্যান্ড জামে মসজিদ, ভাদুঘর শাহী জামে মসজিদ, শেরপুর জামে মসজিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতাল জামে মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। ময়মনসিংহ যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ময়মনসিংহে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের নির্দেশনা মেনে সকালে জেলার প্রতিটি মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুসল্লিরা জায়নামাজসহ মাস্ক পরে মসজিদে আসেন। ঈদুল আজহার খুতবা শেষে খতিবরা দেশ ও জাতির শান্তি কামনায় দোয়া করেন। নাটোর নাটোরে মসজিদে মসজিদে ঈদের জামাত হয়েছে। ইসলামী ফাউন্ডেশনের তথ্যমতে জেলায় এবার তিন হাজারের অধিক মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। তবে প্রতি মুসল্লিরা নিজ জায়নামাজসহ নামাজে উপস্থিত হলেও অনেকের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। সদর উপজেলার ভাটোদাঁড়া জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়ছে। মসজিদে মুসল্লিদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। নামাজ পড়ান ইমাম আইউব আলী। নামাজে দেশ, জাতির কল্যাণ কামনা করে দোয়া করা হয়। পাশাপাশি করোনা মুক্তি আর বন্যার সমস্যা দূর করতেও দোয়া করা হয়। এসময় বিশ্ব মুসলিম ও মানবতার কল্যাণ কামনায় দোয়া করা হয়।। জেলার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় শহরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে। এখানে সকাল ৭টায় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার পর পৌনে ৮টা ও সাড়ে ৮টায় আরও দুটি জামাত হয়। বগুড়া জেলা ইমাম-মোয়াজ্জিন সমিতির সভাপতি মাওলানা মুফতি আবদুল কাদের জানান, করোনার কারণে এবারও ঈদগাহে নামাজ হয়নি। বগুড়া কেন্দ্রীয় বড় মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় প্রথম ও সোয়া ৮টায় দ্বিতীয় জামায়া হয়েছে। এছাড়া জেলার অন্যান্য মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে আদায় করা হবে। কিশোরগঞ্জ করোনার কারণে এবছর সম্পূর্ণ ভিন্ন আবহে কিশোরগঞ্জে ঈদুল আজহার জামাত হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় ২৭০ বছরের প্রাচীন দেশের সবচেয়ে ঐতিহাসিক শোলাকিয়া মাঠে এ বছর জামাত হয়নি। শুধু শোলাকিয়ায় নয়, জেলার কোনও খোলা জায়গায় বা ঈদগাহে ঈদের জামাতের আয়োজন করা হয়নি। শোলাকিয়ায় ঈদের জামাত না হলেও জেলা শহরে ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে প্রধান জামাত হয়েছে। এতে ইমামতি করেন শায়খুল হাদিস মাওলানা শামসুল ইসলাম। শনিবার সকাল ৮টা ও ৯টায় এ মসজিদে দু’টি জামাত হয়। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেন। মসজিদ নামাজে শেষে করোনা দুর্যোগ থেকে মানবজাতিকে উদ্ধারের জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। তাছাড়া মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয় মোনাজাতে। একইসঙ্গে জেলা শহরের ঐতিহাসিক শহীদি মসজিদে অনুষ্ঠিত ঈদ জামাতেও বিপুল সংখ্যক মুসল্লি অংশ নেন। এছাড়াও জেলার সব মসজিদে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের জামাত হয়। প্রত্যেকটি মসজিদে একাধিক জামাতের আয়োজন করা হয়। শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী বলেন, ঈদের দিন লাখো মানুষ শোলাকিয়ায় নামাজ আদায় করতেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে সংক্রমণরোধে শোলাকিয়ার খোলা মাঠে ঈদ উল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি। শুধু মুসুল্লিদের জীবনের ঝুঁকি ও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে শোলাকিয়ার ঈদের জামাত বন্ধ রয়েছে। তাছাড়া জেলার অন্যান্য জায়গায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেছেন। রংপুর রংপুরে সাড়ে ছয় হাজার মসজিদে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে রংপুর সিটি করপোরেশেন এলাকায় ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নগরীর কোর্ট মসজিদে ঈদের নামাজে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি অংশ নেয়। সকাল থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মেটাল ডিটেকটর দিয়ে শরীর তল্লাশি করে মসজিদে প্রবেশ করতে দেয়। রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বিভাগীয় কমিশনার তরিকুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক আসিব আহসানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক দলের নেতারা এই মসজিদে নামাজ আদায় করেন। রংপুর কোট জামে মসজিদে ঈদের জামাত দিনাজপুর দিনাজপুরে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের নামাজ আদায় হয়েছে। সকালে জেনারেল হাসপাতাল জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অংশগ্রহণ করেন জাতীয় সংসদর হুইপ ইকবালুর রহিম, সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, দিনাজপুর জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমদ ভুঞাসহ অন্যান্য মুসল্লিরা। এসময় দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনাসহ করোনা থেকে রক্ষা পেতে মহান আল্লাহ’র কাছ দোয়া প্রার্থনা করা হয়। এছাড়া দিনাজপুর পৌরসভা মসজিদ, কোতোয়ালি থানা জামে মসজিদ, পুলিশ লাইন জামে মসজিদ, গোর-এ শহীদ জামে মসজিদ, জেল রোড জামে মসজিদ, স্টেশন রোড জামে মসজিদ, মুন্সিপাড়া জামে মসজিদ, মহারাজা স্কুল জামে মসজিদসহ জেলার ১৩টি উপজেলায় সাত হাজার ৯৫১টি মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। বাগেরহাট করোনা থেকে মুক্তি কামনায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও যথাযোগ্য মর্যাদায় ঈদুল আজহা পালিত হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাগেরহাটের ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। সকাল সাড়ে ৭টায় বাগেরহাটের বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এই মসজিদের বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মামুনুর রশিদ, প্রশাসনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় করেন। নামাজ আদায় করতে আসা মুসল্লিদের জন্য কর্তৃপক্ষ মসজিদের প্রবেশ দ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখে। মুসল্লিরা মুখে মাস্ক পরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাতার দিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেন। মুসল্লিরা বলেন, এবারের ঈদে মনে আনন্দ নেই। নামাজ পড়তে হবে তাই পড়া, দেশে যেভাবে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে তা থেকে যেন সবাই আমরা মুক্তি পেতে পারি নামাজ পড়ে সেই দোয়াই করলাম আল্লাহর কাছে। নামাজ আদায় শেষে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মামুনুর রশিদ বলেন, করোনা রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুসল্লিরা যেন নামাজ আদায় করতে পারেন সেই ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। জেলার সব মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা যেন নামাজ আদায় করেন সেজন্য মসজিদ কমিটি ও সংশ্লিষ্ট ইমামদের পরামর্শ দেওয়া হয়। বরিশাল বরিশাল কালেক্টরেট জামে মসজিদে সকাল ৮টায় ঈদ জামাত হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধিসহ শারীরিক দূরত্ব রক্ষায় এবার নগরীর একাধিক মসজিদে সর্বোচ্চ ৪টি এবং সর্বনিম্ন ২টি করে ঈদ জামাতের আয়োজন করা হয়। বরিশাল বিভাগে ঈদের সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই দরবার শরীফ মাঠে সকাল ৯টায়। পীর সাহেব চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম জামাতে ইমামতি করেন। দ্বিতীয় বৃহত্তম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় পিরোজপুরের নেছারাবাদের ছারছিনা দরবার শরীফ মাঠে সকাল সাড়ে ৮টায়। ঝালকাঠির কায়েদ সাহেব হুজুর প্রতিষ্ঠিত এনএস কামিল মাদ্রাসা মাঠে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৮টায়। পটুয়াখালীর মীর্জাগঞ্জ হযরত ইয়ার উদ্দিন খলিফা (রা.) দরবার শরীফ মাঠে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৭টায়। বরিশালের উজিরপুরের গুঠিয়া জামে বায়তুল আমান মসজিদ কমপ্লেক্সে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৮টায়। নগরীর পুলিশ লাইনস জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় সর্বাধিক ৪টি জামাত। পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, শারীরিক দূরত্ব রক্ষার জন্য পুলিশ লাইনস জামে মসজিদে সকাল ৮টায়, সকাল সাড়ে ৮টায়, সকাল ৯টায় এবং সকাল সাড়ে ৯টায় ঈদের চারটি জামাতের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও নগরী এবং বিভাগের ৬ জেলায় সহস্রাধিক ঈদ জামাতের আয়োজন করা হয়। ঈদের জামাতে করোনা থেকে মুক্তির জন্য পরম করুনাময়ের কাছে বিশেষ দোয়া করা হয়। এরপর সবাই পশু কোরবানি দেন। খুলনা যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে খুলনায় পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করা হচ্ছে। মুসলিম উম্মাহ, করোনা থেকে মুক্তি ও দেশ-জাতির সমৃদ্ধি কামনার মধ্য দিয়ে খুলনা সিটি করপোরেশনের ৩১টি ওয়ার্ডের ৫১৪টি মসজিদে ঈদের জামাত হয়েছে। করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনা মেনে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সকাল ৮টায় খুলনা টাউন জামে মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামাতে ইমামতি করেন টাউন জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোহম্মদ সালেহ। এছাড়া কোর্ট জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় একটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের জামাতে বিভাগীয় কমিশনার ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করেন। নামাজ শেষে করোনা থেকে মুক্তি, দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। নগরীতে টাউন জামে মসজিদে দ্বিতীয় ও শেষ জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হয়। হিলি হিলিতে ঈদের জামাত শনিবার সকাল ৮টায় ও সাড়ে ৮টায় বাংলা হিলি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মাওলানা শহিদুল ও হাফেজ মাসুদ ইমামতি করেন। নির্ধারিত সময়ের আগেই মুসল্লিরা নিজ নিজ জায়নামাজ নিয়ে মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করেন ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে নামাজ আদায় করেন। তবে মসজিদে প্রবেশের সময় মুসল্লিদের হাত ধুয়ে প্রবেশ করতে দেখা যায়নি। এমনকি অনেক মুসল্লিদেরই মুখে মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা যায়নি। 8,561,740 total views, 445 views today |
|
|
|